বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
আবীর আকাশ- লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর টিসি রোডে হালিমা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন শরীফ মিয়াজির বাস ভবনের নিচতলায় দেহকর্মীর ভাড়া বাসা থেকে ৩ যুবকসহ ৫ জনকে আটক করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
গতকাল (২৭ ফেব্রুয়ারি) (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশ শরীফ মিয়াজির বাসায় রেড দিয়ে প্রথমে ৩ যুবককে আটক করেন। ঐ সময় ঘটনা স্থলে ৬ জন নারী যৌনকর্মী থাকলেও ডিবি পুলিশ নারী যৌনকর্মীদের তৎক্ষনাৎ আটক না করলে সাংবাদিকদের একটি বিচক্ষণ টিম রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদারকে বিষয়টি অবগত করান।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসীন মজুমদার বলেন, ডিবি পুলিশ রেড দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই এবং কেন তারা নারী যৌনকর্মীদের আটক করেনি তাও জানিনা বলে তৎক্ষনাৎ তিনি ডিবি পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন কে বিষয়টি জানান। তৎক্ষনাৎ ডিবি পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন পুনরায় ডিবি পুলিশের টিম পাঠিয়ে ঘটনা স্থান থেকে দুজন নারী যৌনকর্মীকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলো মোঃ নাছির চৌধুরী(৩০) পিতা মৃত আব্দুল মান্নান, সাং দেনায়েতপুর (আব্দুর রহমান হাজী বাড়ী), পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড।(২) লোকমান হোসেন(২৫),পিতা: ছায়েদ আলী, সাং চর কাচিয়া(বেপারী বাড়ি) ৮নং ওয়ার্ড, ৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউপি, (৩) মোঃ শরীফ হোসেন(২৪), পিতা- মজিবল মাঝি, সাং- চর কাচিয়া (মাঝিবাড়ী), সর্ব থানা রায়পুর, জেলা লক্ষ্মীপুর। (৪) জান্নাতুল ফেরদৌস(৩৫), স্বামী- শফিকুল ইসলাম, সাং- পূর্বলাছ, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড, শরীফ মিজি বিল্ডিং এর ভাড়াটিয়া, (৫) জারা ইসলাম তুহা(১৮), পিতা নুরুন্নবী, সাং- একাডেমি রোড, (বড়বাড়ী), পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড, থানা- ফেনী সদর, জেলা- ফেনী।
এবিষয়ে ডিবি পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একজন নারী যৌনকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে সেখানে রেড দিয়ে ৩ জন যুবক ও একজন নারী যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। সেখানে আরও যারা যৌনকর্মী ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং মহিলা পুলিশ না থাকায় প্রথমে তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সাংবাদিকরা যখন রায়পুর থানার ওসিকে আরও যৌনকর্মীদের বিষয়ে জানান তৎক্ষনাৎ আমি পুনরায় সেখানে একটি টিম পাঠালে তারা অভিযান চালিয়ে ঘটনা স্থান থেকে আরও দুইজন নারী যৌনকর্মীকে আটক করেছে। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের তথ্য দেওয়ার জন্য আমি সাংবাদিকদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক শরীফ মিয়াজিকাছে জানতে চাইলে, তিনি গণমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে দেহব্যবসায়ী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মানুষ বিপদে না পড়লে কী কেউ আর এই লাইনে আসে।